শুক্রবার মার্চ ৫, ২০২১ || ২০শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
খবর২৪ডেস্ক
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বর্তমানে দেশে ৪৯ জন নারী ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে বিভিন্ন কারাগারের কনডেম সেলের বাসিন্দা। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের থাকার এই সেলের সর্বশেষ বাসিন্দা হয়েছেন বরগুনার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বরগুনা জেলা কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী বন্দীদের রাখার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। এই কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিন্নিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় নারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ পুরুষ বন্দি এখনো বরগুনা জেলা কারাগারে আছেন বলেও জানান তিনি।
গত বছর ২৬ জুন ভরদুপুরে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাতকে হত্যা করা হয়।
এই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসমির বিচার শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দেয় বরগুনার আদালত। ওই রায়ে মিন্নিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হত্যাকাণ্ডের ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ জন হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আঁকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)।
রায় ঘোষণার পর থেকে মিন্নি বরগুনা জেলা কারাগারে ছিলেন।
বরগুনা জেলা কারাধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বিশেষ নিরাপত্তায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের জানান, তাদের পরিবারের কেউ মিন্নিকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানেন না। বিকালে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ জন আসামির বিষয়ে কারাধ্যক্ষ বলেন, তারা এখনও বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাই কোর্টে আপিল করেছেন।
Leave a Reply